শীতকালে বিশেষ যত্ন নিন শিশুর

শীত আসলে অনেকেই গোসল করতে চান না। বড়দের জন্য শীতকাল যেমন-তেমন। কিন্তু শিশুদের তো ইচ্ছে থাকলেও গোসল না করে থাকার উপায় নেই। বার বার খাওয়া এবং জামা ভিজিয়ে ফেলার পর শিশুদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এই শীতেও জোর করে গোসল করাতে বাধ্য হন মায়েরা। 

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন গোসল না করিয়েও বাচ্চার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়। তার জন্য জানা দরকার কয়েকটি জরুরি কথা। শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে কী কী করবেন?

 

উষ্ণ পানিতে গা মোছা : শীতকালে সদ্যোজাতদের যে প্রতিদিন গোসল করাতেই হবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গেলে যেটুকু প্রয়োজন ঐ টুকুই যথেষ্ট। শিশুদের এমনিতেই বেশি ঘাম হয় না, তাই খুব বেশি পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্রতিবার খাওয়ানোর পর গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে নেয়াই বাঞ্ছনীয়। গোসল যদি করাতেই হয়, তবে একদিন অন্তর উষ্ণ পানিতে।

 

মালিশ : শিশুর ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন মালিশ করা জরুরি। হালকা গরম তেল দিয়ে বাচ্চাদের প্রতিদিন মালিশ করলে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকে, তেমন দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে তা-ও সারিয়ে তোলে।

 

ভিজে জামা : শীতকালে বেশি ক্ষণ ভিজে জামা বা ডায়াপার পরে থাকলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কিছু ক্ষণ পর পরই খেয়াল করতে হয় পোশাক ভিজে গিয়েছে কিনা। এই সময় শিশুদের গরম পোশাকও পরাতে হয়। তাই উপর থেকে চট করে বোঝা যায় না পোশাক ভিজে রয়েছে কিনা। ভিজে জামা বেশি ক্ষণ পরে থাকলে ঠান্ডা লাগাও এড়ানো যায় না।

 

ত্বকের আর্দ্রতা : ভিজে জামা বা ডায়াপার পরে ত্বকে র‌্যাশ বেরোতে পারে। ত্বক শুষ্কও হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে যেমন তেল মালিশ করবেন, তেমন ভাবেই দুপুর বা বিকেলের দিকে সারা দেহে মাখান ময়েশ্চারাইজার। ন্যাপি পরে ত্বকে র‌্যাশ বেরোলে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলাদা ক্রিমও মাখাতে পারেন।

 

ডায়াপার ; বেশি ক্ষণ ন্যাপি পরে থাকলে বাচ্চাদের ত্বকে সমস্যা হতে পারে ভেবে অনেকেই ডায়াপার পরাতে চান না। আবার কেউ বার বার জামা ভিজিয়ে ফেলার হাত থেকে মুক্তি পেতে সারা ক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন। দুই ক্ষেত্রেই সুবিধা যেমন আছে, তেমন সমস্যাও আছে। তাই কতক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন তা বুঝতে হবে শিশুটির মাকেই।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জেলের জালে ধরা পড়ল ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের কাতলা,বিক্রি ৪৪ হাজার

» অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউ’র সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» শিবির প্যানেলের চার নারী প্রার্থীই বিজয়ী

» “দুর্জন যে বিদ্বান হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য”: গণেশ

» ডাকসুতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে শিবির: মির্জা আব্বাস

» সবার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দাবি করেছে জামায়াত: মাসুদ সাঈদী

» গভীর ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন : প্রিন্স

» গণেশ লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয় :বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়

» ডাকসু বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ভিপি নুর

» ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ভোটের প্রতিফলন না: মান্না

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শীতকালে বিশেষ যত্ন নিন শিশুর

শীত আসলে অনেকেই গোসল করতে চান না। বড়দের জন্য শীতকাল যেমন-তেমন। কিন্তু শিশুদের তো ইচ্ছে থাকলেও গোসল না করে থাকার উপায় নেই। বার বার খাওয়া এবং জামা ভিজিয়ে ফেলার পর শিশুদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এই শীতেও জোর করে গোসল করাতে বাধ্য হন মায়েরা। 

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন গোসল না করিয়েও বাচ্চার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়। তার জন্য জানা দরকার কয়েকটি জরুরি কথা। শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে কী কী করবেন?

 

উষ্ণ পানিতে গা মোছা : শীতকালে সদ্যোজাতদের যে প্রতিদিন গোসল করাতেই হবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গেলে যেটুকু প্রয়োজন ঐ টুকুই যথেষ্ট। শিশুদের এমনিতেই বেশি ঘাম হয় না, তাই খুব বেশি পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্রতিবার খাওয়ানোর পর গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে নেয়াই বাঞ্ছনীয়। গোসল যদি করাতেই হয়, তবে একদিন অন্তর উষ্ণ পানিতে।

 

মালিশ : শিশুর ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন মালিশ করা জরুরি। হালকা গরম তেল দিয়ে বাচ্চাদের প্রতিদিন মালিশ করলে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকে, তেমন দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে তা-ও সারিয়ে তোলে।

 

ভিজে জামা : শীতকালে বেশি ক্ষণ ভিজে জামা বা ডায়াপার পরে থাকলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কিছু ক্ষণ পর পরই খেয়াল করতে হয় পোশাক ভিজে গিয়েছে কিনা। এই সময় শিশুদের গরম পোশাকও পরাতে হয়। তাই উপর থেকে চট করে বোঝা যায় না পোশাক ভিজে রয়েছে কিনা। ভিজে জামা বেশি ক্ষণ পরে থাকলে ঠান্ডা লাগাও এড়ানো যায় না।

 

ত্বকের আর্দ্রতা : ভিজে জামা বা ডায়াপার পরে ত্বকে র‌্যাশ বেরোতে পারে। ত্বক শুষ্কও হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে যেমন তেল মালিশ করবেন, তেমন ভাবেই দুপুর বা বিকেলের দিকে সারা দেহে মাখান ময়েশ্চারাইজার। ন্যাপি পরে ত্বকে র‌্যাশ বেরোলে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলাদা ক্রিমও মাখাতে পারেন।

 

ডায়াপার ; বেশি ক্ষণ ন্যাপি পরে থাকলে বাচ্চাদের ত্বকে সমস্যা হতে পারে ভেবে অনেকেই ডায়াপার পরাতে চান না। আবার কেউ বার বার জামা ভিজিয়ে ফেলার হাত থেকে মুক্তি পেতে সারা ক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন। দুই ক্ষেত্রেই সুবিধা যেমন আছে, তেমন সমস্যাও আছে। তাই কতক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন তা বুঝতে হবে শিশুটির মাকেই।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com